Quantcast
Channel: বিডি নিউজ | bdnews.com »বাংলাদেশ
Viewing all articles
Browse latest Browse all 65

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সরকারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি

$
0
0

বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের পক্ষে এ মামলার বাদী হচ্ছেন ওয়াশিংটনের বাসিন্দা বেশ কয়েকজন পেশাজীবী বাংলাদেশী। মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র এ খবর জানিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ মামলার বিস্তারিত জানাবেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। যুদ্ধাপরাধ মামলায় নিয়োজিত জামায়াতের বৃটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান গত রোববার যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হওয়ার পর দেশে জামায়াত-শিবিরের আন্দোলন ও পুলিশি অ্যাকশন এবং হেফাজতে ইসলামের অবস্থানে মধ্যরাতের অভিযানে অগণিত মানুষ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে দেশী-বিদেশী গণমাধ্যম, এনজিও, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্ট এবং বাংলাদেশে পুলিশের গুলিতে বিভিন্ন সময় নিহত জামায়াত-শিবিরসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ উপস্থাপন করা হচ্ছে।
সামপ্রতিক সময়ে হেফাজতের বিরুদ্ধে মধ্যরাতের অভিযানে বাংলাদেশের ‘অধিকার’ নামে একটি এনজিও কর্তৃক হত্যা বিষয়ে যে রিপোর্ট করা হয়েছে তা-ও প্রমাণ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
জামায়াত কর্তৃক নিয়োগকৃত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার অন্যতম বিশেষজ্ঞ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অন্যতম আইনজীবী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজন আইনজীবী মামলার যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশের অন্যতম মুখপাত্র মাহতাব উদ্দীনের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মামলা দায়েরের সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বিভিন্ন বাহিনী মানবাধিকারকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করছে। এর বাইরে মাওলানা সাঈদীর মামলার রায়ের পর এক প্রতিবাদে রাস্তায় বেরিয়ে আসা জনতার ওপর বিভিন্ন বাহিনী কর্তৃক চালানো বেপরোয়া গুলিতে অগণিত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্বে গণতান্ত্রিক কোন সমাজে এভাবে মানুষ হত্যা কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেত্রী এটাকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছেন। একটি দেশের সরকারের হাতে তারই দেশের নিরস্ত্র শ’ শ’ মানুষ নিহত হলো। অথচ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতি বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নির্মূল করতে সরকার পরিকল্পিতভাবে এ গণহত্যা চালিয়েছে।
এর বাইরে গত ৬ই মে দিবাগত রাতে হেফাজতের ঘুমন্ত নিরীহ কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সরকারি বাহিনী। সরকার বলছে কেউ মারা যায়নি। অথচ বিভিন্ন এনজিও এবং সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক গণহত্যার খবর বেরিয়েছে। এর বাইরে পুলিশ কর্তৃক বিরোধী নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং পঙ্গু করে দেয়ার অসংখ্য ভিডিও ও তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। সরকারি দলের সমর্থকদের হাতে বিশ্বজিৎকে নির্মমভাবে হত্যার ভিডিও সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে দাখিল করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।
সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী ও পুলিশের কর্মকর্তাকে এ মামলায় আসামি করা হতে পারে।

Share this:
Share this page via Facebook Share this page via Twitter

Viewing all articles
Browse latest Browse all 65

Trending Articles