আন্দামান সাগরে ‘এমভি হোপ’ নামের মালবাহী জাহাজ ডুবে নিখোঁজ হয়েছেন বাংলাদেশের ১১ নাবিক। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে থাইল্যান্ডের দক্ষিণে ফুকেট নামক দ্বীপের ৩২ কিলোমিটার দূরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এফপির বরাত দিয়ে এ সংবাদ পরিবেশন করেছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা দেয়া এ মালবাহী জাহাজটি আন্দামান সাগরে ঝড়ের কবলে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আর জাহাজডুবি ও নাবিক নিখোঁজের এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী।
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী জানায়, তারা দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে তাদের উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। থাই নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন থমমাউত ম্যারালাইসুকারিমের বরাত দিয়ে জানায়, থাইল্যান্ডের নৌবাহিনী তাদের হেলিকপ্টারে করে এ পর্যন্ত ১৮ নাবিককে উদ্ধার করেছে। কিন্তু ১০ নাবিককে তারা এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। উদ্ধারের সময় লাইফ বোটে থাকা ওই ১০ জনকে সমুদ্রস্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পরও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
দুর্ঘটনার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (পিঅ্যান্ডআই ক্লাবের প্রতিনিধি) ইন্টারপোর্ট মেরিটাইম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। তিনি ১১ নাবিক নিখোঁজ হওয়ার কথা বলেছেন।
জাহাজ ডুবিতে নিখোঁজরা হলেন – জাহাজের ক্যাপ্টেন রাজীব চন্দ্র কর্মকার, প্রধান কর্মকর্তা মাহবুব মোর্শেদ, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোবারক হোসেন, ডেক ক্যাডেট ফাইজুর, প্রধান প্রকৌশলী কাজী সাইফুদ্দিন, দ্বিতীয় প্রকৌশলী নেজাম উদ্দিন, ইঞ্জিন ক্যাডেট মুশফিকুর রহমান, ইলেকট্রিশিয়ান ছাদিম আলী, কেবি নাসির উদ্দিন, আলী হোসেন ও প্রধান কুক নাসির উদ্দিন।
উদ্ধাকৃতদের মধ্যে ছয় নাবিকের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- জাহাজের চতুর্থ প্রকৌশলী আবদুল হাকিম, ডেক ক্যাডেট মোখলেসুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, মো. রুবেল, আলী হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।